পহেলগাঁওতে পর্যটকদের উপর নৃশংস জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার বেহালার সখের বাজারের বাসিন্দা সমীর গুহ। শনিবার তাঁর বাড়িতে যেতে দেখা গেল এনআইএ -এর তদন্তকারীদের। কারণ, কী ভাবে হামলা হয়েছিল, জঙ্গিরা ঠিক কী বলেছিল, গুলি করার আগে জঙ্গিরা কোনও সংগঠনের নাম নিয়েছিল কি না, তারা মোট কতজন ছিল ঘটনাস্থলে ইত্যাদি তথ্য বিস্তারিত জানতেই প্রয়াত সমীরবাবুর স্ত্রীয়ের সঙ্গে কতা বলতে যান এনআই-এর আধিকারিকেরা। প্রসঙ্গত, স্ত্রী শবরী ও মেয়েকে নিয়ে পহেলগামে ঘুরতে গিয়েছিলেন সমীর। গত ২২ এপ্রিল সেখানে জঙ্গিদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হন। যাঁদের মধ্যে সমীর গুহ ছাড়াও বৈষ্ণবঘাটার বিতান অধিকারী ও পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী মণীশরঞ্জন মিশ্রও ছিলেন। সূত্রের খবর, এরপর বিতান ও মনীশদেরও বাড়িতে যাবেন তদন্তকারীরা।সমীরের স্ত্রী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, হামলার ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ছবি তুলছিলেন তাঁরা। তারপর চেয়ারে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। ঠিক তখনই গুলির আওয়াজ পান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের সামনে চলে আসে জঙ্গিরা। তাঁর কথায়, গুলির আওয়াজ পেয়েই সমীর তাঁদের মাটিতে শুয়ে পড়তে বলছিলেন। মেয়েকেও শুইয়ে দিয়েছিলেন। পালানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে ন্যূনতম সময়টুকু পাননি। ততক্ষণে মুখে মাস্ক লাগিয়ে সামনে চলে আসে জঙ্গিরা। ‘ইনকো মাত ছোড়না’ বলেই গুলি চালাতে থাকে তারা। এক মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সমীর। ফলে গত বুধবারই ফেরার কথা ছিল সমীরদের। তবে স্ত্রী-মেয়ে বেঁচে ফিরলেও, মঙ্গলবারের হামলার পর সমীরের আর বাড়িতে ফেরা হয়নি।