২৪ এপ্রিল এসইউসি-এর ৭৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এক বৃহৎ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। যেখানে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ। এদিন সমাবেশে রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে মানব বেরা বলেন, পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটকের উপর জঙ্গি হানার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে অবিলম্বে জঙ্গিদের কঠোর শাস্তির পদক্ষেপ যেন নেওয়া হয়। একই সঙ্গে গাজায় ইজরায়েল হামলা ও ইউক্রেনের নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সমাবেশ থেকে সরব হন। মুর্শিদাবাদের ঘটনায় যে মানুষগুলির উপর অত্যাচার হয়েছে তাঁদের অবিলম্বে রাজ্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরন ও পুনর্বাসনের দাবি তোলা হয়েছে। রাজ্য সরকারকে দায়ী করে অভিযোগ তোলা হয় দুর্নীতি বাড়ছে ফলে সাধারণ মানুষ সেই দুর্নীতির শিকার হচ্ছে। চাকরি হারা যেসব শিক্ষকরা পথে বসে রয়েছেন তাঁদের স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি আরজিকর ঘটনায় নিহত চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুতে সঠিক তদন্ত হওয়ার দাবি জানানো হয়।
একইসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ এদিন মঞ্চ থেকে বলেন, কাশ্মীরে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা চলে, পর্যটকরা রয়েছে সেখানে কেন এই ঘটনা ঘটল। এবার জঙ্গি দমনের নামে কাশ্মীরিদের উপর নিপীড়ন বাড়বে। উগ্র হিন্দুবাদের নামে ওই এলাকায় অত্যাচার চলছে। রামমন্দির প্রতিষ্ঠা থেকে সারা দেশ জুড়ে ভোট ব্যাঙ্ক পলিটিক্স চলছে। কিন্তু রাষ্ট্র এখন ধর্ম নিরপেক্ষ নয়। ধর্মের নামে শুধু দেশে নয় রাজ্যেও বিভাজন চলছে। পুলিশকে নিষ্ক্রিয় রেখে মুর্শিদাবাদে অরাজকতা চলছে। কে বড় হিন্দু তা দেখানোর জন্য রামমন্দির উদ্বোধনের মতোই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ হচ্ছে। কোনও বিপ্লবী কখনো ধর্ম পুজোর জন্য ছুটেছে? এখন নেতারা উন্মাদ হয়ে ছুটছে। কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী যিনি ধর্ম প্রচারক, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও ধর্ম প্রচারক। এই ধর্ম প্রচারের মাধ্যমে চরম ভণ্ডামি তৈরী করা। এত বড় কুম্ভ মেলা হল কিন্তু তার আর্থিক কোনো হিসাব নেই? শুধু ধর্মের খেলা চলছে কিন্তু হিন্দু মুসলিম খুন হলে সেদিকে কেউ ন্যায় দেয় না। চাকরি দুর্নীতিতে যারা রাস্তায় বসে আছে যারা তাঁর জবাব কে দেবে? কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি এদিন বলেন, সিবিআই ইডি কংগ্রেসের আমলে খাঁচার তোতা পাখি ছিল তাহলে এখন কি? এইসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে, রুখে দাঁড়াতে একমাত্র মার্ক্সবাদ ভরসা।