কাশ্মীরি হামলার অন্যতম মাথা সেই সইফুল্লা।কিন্তু কে এই সইফুল্লা? সইফুল্লা বর্তমানে লশকরের উপপ্রধান বা ডেপুটি চিফ। তিনি পরিচিত সইফুল্লা কসুরি নামেও। ভারতের অন্যতম শত্রু হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ হিসাবেও পরিচিত এই সাইফুল্লা।বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে লশকর এবং টিআরএফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে মূলমাথা এই সইফুল্লা খলিদ।পহেলগাঁও হামলার পরিকল্পনার নেপথ্যেও তাঁরই হাত রয়েছে বলেও খবর।এই নৃশংস হত্যালীলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ। কারা এই টিআরএফ? কাশ্মীরি জঙ্গি শেখ সাজ্জাদ গুলের হাতে জন্ম হয় টিআরএফের। এই নতুন জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরির আগে গুল লশকরের কমান্ডার ছিলেন।টিআর এফের উত্থান ২০১৯ সালে যখন সবে সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তি হওয়ার সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর ই ত্যায়বার ছায়া সংগঠন হিসাবে উঠে আসে দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ। ওসামা বিন লাদেনের সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর ই ত্যায়বা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসাবে ঘোষিত হওয়ার পর জন্ম হয় টিআরএফের। টিআর এফের মূল লক্ষ্য ছিল,শান্ত কাশ্মীরে বিঘ্ন ঘটানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে নাশকতা মূলক কাজকর্মে নতুন ধারা আনার চেষ্টা শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। প্রথমে এই গোষ্ঠী ছিল পুরো অনলাইনে।পরে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে ছয় মাসের মধ্যেই অনলাইন থেকে বাস্তবে রূপ নেয় টিআরএফ। জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ডানা মেলতে শুরু করে টিআরএফ।নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে লশকর, জৈশ ই মহম্মদ সহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের নিযুক্ত করে টিআরএফ। জানা যায় টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালে টিআরএফকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসাবে চিহ্নিত করেছিল কেন্দ্র। জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞাও। গত জুন মাসে জম্মু কাশ্মীরের রেইসি জেলায় পুণ্যার্থীদের একটি বাসে হামলা হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১০ জন পুণ্যার্থীর। এই সব সন্ত্রাসী হামলার চক্রী হিসাবে সইফুল্লার নামই উঠে এসেছে। শোনা যায় বিলাসবহুল জীবনযাত্রার উদাহরণ এই সইফুল্লা। শোনা যায় পাকিস্তানের অনেক সেনাকর্তার কাছের লোক হিসাবে পরিচিত সইফুল্লা।

সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে হামলার দু’মাস আগে, সইফুল্লা খলিদ পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের কঙ্গনপুরে এক বক্তৃতায় ভারতীয় সেনাকে হত্যার নিদান দিয়েছিলেন।তিনি নাকি বলেছিলেন ২০২৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাশ্মীর দখল করে স্বাধীন কাশ্মীর উপহার দেবেন। আর তার পরেই মঙ্গলবারের প্যাহেলগাওঁ এর ঘটনা কার্যত পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে।