কাশ্মীরের জঙ্গিহানায় নিহতদের দেহ কলকাতায় এসে পৌঁছাল দমদম বিমানবন্দরে। মৃতদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি কলকাতায়, অপর জনের পুরুলিয়ায়। বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহ এবং বৈষ্ণবঘাটা পাটুলির বাসিন্দা বিতান অধিকারীর দেহ বুধবার রাত ৮টা নাগাদ দমদমে নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। পুরুলিয়ার ঝালদার মণীশরঞ্জন মিশ্রের দেহ রাঁচী বিমানবন্দরে আসার কথা। কলকাতা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলী, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল-সহ আরও অনেকে। বিমানবন্দরেই বিতানের ছেলেকে কোলে তুলে নিতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বিতানের ছেলেকে কোলে নিয়েই শুভেন্দু আশ্বস্ত করেন, এই জিনিস বরদাস্ত করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদী জঙ্গিদের নিধন করবেনই। পাশে দাঁড়ানো বিতানের স্ত্রী শুভেন্দুকে বলেন, “আপনারা আছেন বলেই এসেছি। আমার স্বামীর খুনিদের শাস্তি চাই।”
বিতানের স্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “আমার সব শেষ হয়ে গেল। ওর চোখের সামনে ওর বাবাকে মেরেছে!” শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “হিন্দুস্তানে হিন্দুদের খুন করবে! গাজা শেষ হয়েছে, ইজরায়েল শেষ করেছে। আমরাও শেষ করব। আমরা মোদীর শিষ্য আছি। মোদীর বাচ্চা আমরা।”
এরপর বিতানের স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “বিতান বিজেপিকে সমর্থন করতো। আপনাদের ভরসায় এখানে এসেছি।” শুভেন্দু তাঁকে বলেন, রাজনীতির কথা ছেড়ে দেন, বিতান হিন্দু বলে ওকে মেরেছে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।