রাজস্থান: গড়াপেটার অভিযোগ উঠতেই পালটা মুখ খুলল রাজস্থান রয়্যালস। ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে ইতিমধ্যেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা এবং ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রাজস্থান রয়্যালসের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, গড়াপেটার যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে। এমন ভিত্তিহীন অভিযোগের জেরে ফ্র্যাঞ্চাইজির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। শনিবারের ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে মাত্র ১৮১ রানের টার্গেট ছিল রাজস্থানের সামনে। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল, হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতে যাবেন রিয়ান পরাগরা। কিন্তু সেই স্বপ্নে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান লখনউ পেসার আভেশ খান। ডেথ ওভারে দুরন্ত বোলিং করেন। শেষ পর্যন্ত ১৭৮তে থেমে যায় রাজস্থান ইনিংস। তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরাও হন আভেশ। রাজস্থানের এমন জেতা ম্যাচ হেরে যাওয়া নিয়েই সুর চড়িয়েছেন রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কনভেনর জয়দীপ বিহানি। তাঁর প্রশ্ন, ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছে রাজস্থান। শেষ ওভারে সামান্য কিছু রানের টার্গেট। সেই অবস্থায় কী করে হারতে পারে দল? একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজস্থান ক্রিকেট কর্তা তথা বিজেপি বিধায়ক ইঙ্গিত করেন, লখনউ বনাম রাজস্থান ম্যাচে গড়াপেটা হয়েছিল। কিন্তু যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে রাজস্থান ফ্র্যাঞ্চাইজি। দলের উচ্চ কর্তা দীপ রায় বলেন, ‘অ্যাড হক কমিটির কনভেনারের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করছি। প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য ভিত্তিহীন। শুধু তাই নয়, এমন মন্তব্যের জেরে দলের ভাবমূর্তি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে।” ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে আরও বলা হয়, গত ১৮ বছর ধরে রাজস্থান সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে তারা। তবে আগেও গড়াপেটার অভিযোগে ২ বছর নির্বাসিত ছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে এবার গড়াপেটার অভিযোগ একেবারে নস্যাৎ করেছে তারা। বরং রাজ্য প্রশাসনের কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজির আবেদন, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক বিহানির বিরুদ্ধে।