যোগ্য অযোগ্য তালিকায় ধোয়াশা কমিশনের

IMG-20250422-WA0311

সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে চলবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যাঁরা পরিষেবা দিয়েছেন চালু ব্যবস্থা অনুযায়ী তাঁদের বেতন চালু থাকবে। সোমবার মাঝরাতে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কমিশন। আন্দোলনকারীদের দাবি মানল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা যোগ দেবেন কাজে। যথা নিয়মে মিলবে বেতনও। বিজ্ঞপ্তি জারি করে তালিকা প্রকাশের কথা জানাল স্কুল শিক্ষাদপ্তর। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা জেলায়-জেলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু ঠিক কাদের বেতন চালু থাকবে, কারা স্কুলে যাবেন সেই তালিকা প্রকাশ সম্পর্কে কোনও কথা বলা হয়নি।প্রসঙ্গত, সোমবার ‘স্বচ্ছ’ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল কমিশনের। শিক্ষকরা লিখিত নির্দেশ চেয়েছিলেন, যেখানে অস্বচ্ছ নিয়োগ নয় তাই স্পষ্ট করা থাকবে। কিন্তু গভীর রাতেও ঘেরাও থাকলেও কমিশন নিজেই স্বচ্ছ অবস্থান জানাতে পারেনি।এদিকে সুপ্রিম রায়ে বলা হয়েছে চাকরি সবার বাতিল হলেও, স্কুলে ক্লাস চালানোর স্বার্থে সেই শিক্ষকরা ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন যাঁদের নাম চিহ্নিত অস্বচ্ছের তালিকায় নেই। আদালতে কমিশনই জানায়নি এঁদের যোগ্য বলা যাবে কিনা। যে কারণে পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে। কমিশন এখনও চোর এবং অযোগ্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে,বলে মনে করছেন চাকরিহারাদের একাংশ। এদিকে আবার বিক্ষোভ তুলে নিয়ে স্কুলে গেলে বেতন মিলবে, বিজ্ঞপ্তি এই ইঙ্গিত দিল কিনা তার নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এদিকে আন্দোলনের সংহতিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবিটিএ। রাতে বিক্ষোভরত চাকরিহারাদের কাছে যান জুনিয়র ডাক্তাররাও। আচমকা চাকরিহারা হওয়ার পর থেকে কেটেছে বহু নির্ঘুম রাত। ‘যোগ্যতা’র ভিত্তিতে পাওয়া শিক্ষকতার চাকরিতে হঠাৎ অনিশ্চয়তা। নিয়োগ দুর্নীতির জাঁতাকলে পড়ে যেন দুর্ভাগ্যতাড়িত হয়েছেন তাঁরা। ‘যোগ্য-অযোগ্যে’র ফারাক করতে অক্ষম স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর ভরসা হারিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল বাতিল করেছে। কর্মহীন রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫২ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। এসএসসি তবু ভরসা দিয়েছিল, কারা যোগ্য, কারাই বা অযোগ্য, তা তালিকা প্রকাশ করে পৃথকীকরণ করা হবে। তার দিনও ধার্য হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীও বারবার আশ্বাস দিয়েছেন, ‘যোগ্য’রা বঞ্চিত হবেন না, তাঁদের পাশে রয়েছে সরকার।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement