২০০ কোটি টাকায় দীঘায় সেজে উঠেছে জগন্নাথ ধাম

IMG-20250420-WA0286

দীঘা: দীঘা মানেই সমুদ্রে স্নান বা ঝাউবনে হারিয়ে যাওয়া। এই ধারণাই এতদিন পোষণ করে এসেছেন পর্যটক থেকে আমজনতা সকলে। তবে খুব শীঘ্রই জগন্নাথ দেবের মন্দিরের হাত ধরে বদলে যেতে চলেছে ধারণাটি। কারণ, এখানে শুধু পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের আদলে একটি মন্দিরই তৈরি হচ্ছেনা, কুড়ি একর জমির উপর গড়ে উঠেছে আস্ত জগন্নাথ ধাম। অর্থাৎ , পর্যটক থেকে শুরু করে ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য রাজ্যে আরও একটি তীর্থক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি পেতে চলেছে এই নয়া স্থাপত্য। একেবারে পুরীর মন্দিরের আদলে গড়ে উঠেছে এই মন্দির। এমনকি মূল মন্দিরের উচ্চতাও ঠিক পুরীর মন্দিরে সমান। মন্দিরের মাথায় ধজা নিয়ে ৬৫ ফুট। পুরীর মন্দিরে প্রতিদিন ধ্বজা লাগানো দেখতে ভিড় জমান হাজার হাজার পুণ্যার্থী। এবার এখানেও সেই দৃশ্য ধরা পড়বে। কারণ দিঘার জগন্নাথ দেবের মন্দিরেও প্রতিদিন ধ্বজা পরিবর্তনের ব্যবস্থা হবে। তবে তফাতো কিছু থাকবে। যেমন পুরীর মন্দিরের জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি নিম কাঠে তৈরি। কিন্তু দিঘার মন্দিরে সেগুলি হবে মার্বেল পাথরের। পুরীর মন্দিরের প্রবেশদ্বার চারটি। সেখানে দীঘায় তিনটি দ্বার। দুটি পূর্ব দিকে (সমুদ্রের দিকে) মুখ করে আরেকটি পশ্চিমে ঠিক পুরীর মত! বাইরের জুতো জমা রেখে খালি পায়ে প্রবেশ করতে হবে মন্দিরে। জুতো জমা রাখার ও আলাদা জায়গা করা হয়েছে। এছাড়া পুরীর মতোই এখানেও মন্দিরের প্রতিটি প্রবেশদ্বারেই থাকছে পাঁচ ইঞ্চি গভীর পা ধোয়ার জায়গা। এই মন্দির নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় দুশো কোটি টাকা। এই প্রসঙ্গে জানালেন জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দির পরিচালনার জন্য ২২ জনের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আগামী তিরিশে এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার পুন্য তিথিতে দ্বার উদঘাটন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। তার আগের দিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে হোম যজ্ঞ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান। উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে অসংখ্য মানুষের সমাগম হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন ২৭ এ এপ্রিল থেকে কোন ধরনের গাড়ি বা যানবাহন যাতায়াতের ক্ষেত্রে বন্ধ থাকবে। রাজস্থান থেকে আনা হয়েছে দামি মার্বেল পাথর। প্রসঙ্গত পুরীর মন্দির আরেকটি দর্শনীয় জায়গা হল রান্নাঘর।কিছুটা সেই আদলেই এখানেও গড়ে তোলা হয়েছে ভোগ ঘর। ভক্তদের কথা মাথায় রেখেই মন্দির চত্বরের মধ্যেই থাকবে একটি ডালা আরকেভ। সেখান থেকে পুজোর সামগ্রী কিনে মূল মন্দি মূল মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। পুরীর মত এখানেও টানা হবে সুসজ্জিত রথ। অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ফলে এখন সারাদিন রাত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা চলছে। নির্ধারিত সময়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে আয়োজনে যাতে কোন রকম ফাঁক না থাকে সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনার কাজ জোর কদমে চলছে। এখন মন্দিরের সামনে নিরাপত্তা রক্ষীরা চারিদিকে ঘিরে রেখেছে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement