মুম্বই: সেনাবাহিনীর চাকরি শেষ, কিন্তু কর্তব্যবোধে কোনও ছেদ পড়েনি! অভিনেত্রী দিশা পটানির দিদি, খুশবু পটানি—একসময়ের ভারতীয় সেবাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট, বর্তমানে একজন ফিটনেস কোচ। আর এবার তাঁর একটি মানবিক কাজে মুগ্ধ গোটা দেশ।এক সময়ে লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত এই সেনা-অফিসার রবিবার সকালে দেখালেন, আসল নায়ক আসলে পর্দায় নয়, সমাজের ভেতরেই বাস করে।এদিন নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেন খুশবু, যেখানে দেখা যায়— উত্তর প্রদেশের বেরেলি অঞ্চলের একটি একটি পোড়ো ঝুপড়িতে পড়ে রয়েছে এক সদ্যোজাত কন্যাশিশু। সহজ করে বললে, ফেলে দেওয়া হয়েছে! খুশবু নিজে ছুটে গিয়ে শিশুটিকে কোলে তুলে নেন, তার কান্না থামাতে স্নেহভরা গলায় বলেন, “ভয় পাস না, তোর দেখভালের ব্যবস্থা আমি করবভিডিওর শেষে ক্যামেরাম্যানকে বলেন, “এই বাচ্চার মুখটা ভালো করে দেখাও। যদি কেউ বেরেলির বাসিন্দা হয়ে থাকেন আর শিশুটিকে চেনেন, তাহলে বলুন—এই নিষ্পাপ প্রাণটাকে কে ফেলে গেল? এমন বাবা-মায়ের উপর ঘৃণা হওয়া উচিত।” ভিডিওটির ক্যাপশনে খুশবু লেখেন:”যাকে ঈশ্বর রক্ষা করেন, তাকে কেউ মারতে পারে না। আশা করি প্রশাসন যথাযথ নিয়ম মেনে তার দায়িত্ব নেবে। আমি নিশ্চিত করব এই মেয়েটির জীবন এখান থেকেই বদলে যায়। কবে পর্যন্ত চলবে এসব? দয়া করে, এই দেশের প্রতিটি কন্যাশিশু যেন নিরাপদে বড় হতে পারে—এইটাই একমাত্র প্রার্থনা। খুশবুর এই উদ্যোগে প্রশংসায় ভরে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। ভূমি পেডনেকর মন্তব্য করেন—অনুরোধ করছি, ‘বেটি বাঁচাও’ শুধু স্লোগান নয়—এটা বাস্তবে রূপ দিন। কবে পর্যন্ত চলবে এইসব? আমি নিশ্চিত করব, ওর জীবন এখান থেকেই পাল্টে যাবে।” ভিডিও শেয়ার হতেই নেটদুনিয়ায় প্রশংসার ঝড়। অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকর লিখেছেন—“ঈশ্বরের আশীর্বাদ ওই ছোট্ট শিশুটির পাশাপাশি তোমার উপরেও যেন ঝরে পড়ে!” একজন অনুরাগী কমেন্টে বলেন, “আপনাকে কুর্নিশ। একবার যে সৈনিক হয়, সারাজীবন সে সৈনিক-ই থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে খুশবুর উদ্দেশ্যে এখন একটাই বার্তা—”তিনি হয়তো এখন সেনাবাহিনীতে নেই, কিন্তু তাঁর হৃদয়ে এখনও একজন প্রকৃত সৈনিক বাস করেন।”