জিন্দালদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের শিলান্যাস মুখ্যমন্ত্রীর

IMG-20250420-WA0330

শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর বিদ্যুৎকেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিন্দল গোষ্ঠীর কর্ণধারদের উপস্থিতিতে শালবনিতে জিন্দলদের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কর্মসূচির পরে মুখ্যমন্ত্রী জেলাতেই থাকবেন। পরদিন শালবনিতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় ফেরার কথা তাঁর। আগেই এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হলে মানুষ উপকৃত হবেন বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। গত বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে তিনি জানান, ‘‘এখন তো একতরফা হয়ে যাচ্ছে। যত পাওয়ার প্লান্ট হবে তত দামে সামঞ্জস্য হবে। ৮০০ মেগাওয়াট করে দুটো পাওয়ার প্ল্যান্ট হবে। যেখানে জিন্দালরা ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। আমরা ওদের লেটার অফ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে দিয়েছি। পূর্ব ভারতে এই ধরণের প্লান্ট নেই। এটা একটা বড় সুখবর।’’ গরমে লোডশেডিংয়ের সমস‍্যার অভিযোগ প্রায়ই উঠে আসে। তৃণমূল সরকারে বিরুদ্ধে ইলেকট্রিসিটির সমস্যা নিয়ে শোনা গিয়েছে ক্ষোভ। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা ছিল, ‘‘ সারা বাংলা জুড়ে অনেক পাওয়ার প্লান্ট হচ্ছে। আগে বারবার শুনতাম লোডশেডিং এর সরকার আর নেই দরকার। এখন কিন্তু সেই দিন নেই। আমাদের ও কিন্তু ভর্তুকি দিতে হয়। কেউ যাতে শিল্প গড়তে সমস্যায় না পড়ে তার জন্য এই প্রজেক্টগুলো নিয়েছি। ২২ তারিখ বেলা ১২. ৩০ গড়বেতায় একটি সোলার পাওয়ার প্লান্ট তৈরী করছি। এটা গ্রীন প্রজেক্ট। একটা জার্মান কোম্পানি ৮০ শতাংশ টাকা খরচ করছে। বাকি ২০ শতাংশ টাকা রাজ্য দেবে।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, “সাগরদিঘিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ চলছে। দুর্গাপুর, বক্রেশ্বরে পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ চলছে। সাঁওতালডিহিতেও চলছে। বাংলা জুড়ে অনেকগুলো পাওয়ার প্ল্যান্ট হচ্ছে। তার ফলে বাড়বে কর্মসংস্থান। আয়ও বাড়বে। এখন আর লোডশেডিং হয় না।” মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গোয়ালতোড়ে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জার্মানির এক সংস্থা এই প্রকল্পের জন্য ৮০ শতাংশ আর্থিক বিনিয়োগ করেছে। বাকি টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ৭৫৭ কোটি টাকা বিনিয়োগে এই প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে। এছাড়া ওইদিন ২৫টি দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে ১৫টি জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে সেগুলি যাবে দিঘায়। বাকি ১০টি থাকবে কলকাতায়।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement