কলকাতা পুলিশের কর্মী ও আধিকারিকদের মনোবল বৃদ্ধি করতে শহরে এলেন প্রখ্যাত অনুপ্রেরণামূলক বক্তা রাজেশ কুমার ওরফে মাস্টারজি নিজের মূল্যবান বক্তব্য শোনালেন।
শুক্রবার কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের সভাকক্ষে তিনি বাহিনীর উদ্দেশে ইতিবাচক কথা বলেন।
এদিন উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের একজন ডিআইজি পদের অফিসার, কলকাতা পুলিশের ডিসি (ফার্স্ট ব্যাটেলিয়ন) অমিতকুমার বর্মা, এসি (২) হেডকোয়ার্টার অলোক সান্যাল, স্পেশ্যালাইজড ফোর্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার শেখরেশ নাথ ও পিনাকিরঞ্জন দাস, কমব্যাট ব্যাটেলিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সৌমেন দে সরকার প্রসূন কুমার বসু ও সজলকুমার দত্ত এবং এসি (কমান্ডো) অশোক মাঝি সহ কলকাতা পুলিশের প্রায় ২৫০ জন কর্মী ও আধিকারিক।
মাস্টারজি বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা, পরিবারের জন্য কম সময় পাওয়া, ট্রমাটিক ঘটনা সামলানো, জনমানসে পুলিশের ভাবমূর্তি বজায় রাখা সব কিছু মিলিয়ে পুলিশের উপর মানসিক চাপ অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে উদ্বেগ, মানসিক অবসাদ এবং পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের মতো মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ কর্মক্ষমতা, পারিবারিক জীবন ও সামগ্রিক কল্যাণেও প্রভাব ফেলে। মানুষের কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবন সিনেমার চরিত্রে অভিনয় করার মতো। গ্রহণ শক্তি আরও বাড়াতে হবে। তাহলে কোনও সমস্যাই সমস্যা বলে মনে হবে না। এখনকার তরুণ প্রজন্ম যেভাবে মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছে, ওদের সেখান থেকে না বের করতে পারলে আগামী ২৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে গোটা দেশ মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বে।”
তরুণ প্রজন্মের মানসিক অবসাদ দূর করতে “মিশন ৮০০ কোটি” পন্থা অবলম্বন করছেন মাস্টারজি।
কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ এবং নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার মতো গুরুদায়িত্ব পুলিশের কাঁধে। এই দায়িত্বপালন করতে গিয়ে পুলিশকর্মীদের শারীরিক ঝুঁকি, মানসিক চাপ ও অবসাদের সম্মুখীন হতে হয়। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় মাস্টারজির বাণী পুলিশের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে প্রেরণা যোগাবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শুধু বাহিনীর মনোবল বাড়াতে চাই না। বরং তাঁদের মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের পথও সুগম করতে চাই। ফলে পুলিশ সদস্যরা আরও দক্ষতার সঙ্গে চাপ ও উদ্বেগ সামলাতে পারবেন।”