সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দিলীপ, শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

IMG-20250418-WA0253

বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার তাঁর নিউ টাউনের বাড়িতেই পাত্রী রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বিজেপি করার সূত্রেই আলাপ দু’জনের। গত লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর দিলীপ যখন খানিক বিষণ্ণ, তখন রিঙ্কুই প্রথম একসঙ্গে সংসার বাঁধার প্রস্তাব দেন। তিনি নাকি বলেছিলেন, এখন তো তাঁর সঙ্গে কেউ নেই। তিনি দিলীপের সঙ্গে থাকতে চান। শেসমেশ শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈদিক মতে বিয়ে সারেন তাঁরা। সংসার জীবনে পা রাখার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান অনেকেই।তাঁকে ফুলের তোড়া পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের ছাপযুক্ত হলুদ রঙের খাম পৌঁছয় নিউ টাউনে। তাতে সাদার উপর কালো ছাপার হরফে দিলীপের নাম এবং ঠিকানা লেখা। রাজনীতিকে পাশে সরিয়ে সৌজন্যের নজির দেখিয়ে নিউ টাউনে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দিলীপ ঘোষ। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঘনিষ্ঠ গুটি কয়েক মানুষ। এদিন সকালে দিলীপের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্য নেতারা। বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও। সুকান্তের সঙ্গে সকালে দিলীপের বাড়িতে গিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ঢোন্ডের মতো নেতারা। দিলীপের জন্য সুকান্ত নিয়ে গিয়েছিলেন ফুলের তোড়া, মিষ্টির বাক্স আর ধুতি-পাঞ্জাবি। বিজেপির অন্য নেতারাও ফুল, মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলেন। কারও কারও হাতে তার পাশাপাশি অন্য উপহারও ছিল। দিলীপের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘দিলীপদার বিয়েতে অস্বাভাবিক কিছু আছে বলে আমার মনে হচ্ছে না। এর আগে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিয়ে দেখেছেন আপনারা। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির বিয়ে দেখেছেন। ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের বিয়ে দেখেছেন। তিনি আবার ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের মধ্যে তো অস্বাভাবিক কিছু নেই। রাজনীতিতে যাঁরা থাকেন, সামাজিক জীবনে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সমাজের কাজ এবং রাজনীতির কাজ করতে গিয়ে অনেক দেরি হয়ে যায়। যেমন প্রিয়রঞ্জনদার হয়েছিল। দিলীপদা এবং নববধূর আগামী জীবন শুভ হোক। ভাল হোক। দলের তরফে আমরা ওঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। এটা ওঁদের ব্যক্তিগত পরিসর। সেখানে কারও না ঢোকাই ভাল।’’দিলীপ ঘোষ যে বিয়ে করবেন, এটা অনেকের কাছেই অবাক করার মতো খবর। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবরই বিষয়টি সামনে আসে।শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘সমস্ত দায়দায়িত্ব পালন করেছি। এটাই বাকি ছিল। এ বার এটাও হয়ে যাক।’ তিনি বলেন, ‘মায়ের দায়িত্ব কোনওদিন পালন করিনি। এ বার করব। মায়ের সেবা করব।’ দিলীপ বলেন, ‘৬ বছর বয়স থেকে মায়ের সঙ্গে কোনওদিন থাকিনি। এখন মা আমার কাছে থাকতে এসেছেন। কিন্তু আমি যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই, মাকে জল দেওয়ার কেউ থাকে না। এই দায়িত্ব পালনের দরকার ছিল।’ এ দিকে বঙ্গ বিজেপির দাপুটে এই নেতার বিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও চর্চা নেহাত কম নয়। বিয়ে না করার পরামর্শও পেয়েছিলেন তিনি, শোনা যাচ্ছে এমনটাই। সেই সমস্ত আলোচনা নিয়ে অবশ্য বাক্য ব্যয় করেননি দিলীপ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি যেমন করছি তেমনই করব। দল যেই দায়িত্ব দেবে তা আগের মতোই পালন করব।’

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement