মুর্শিদাবাদ নিয়ে ফের ‘সংঘাত’ রাজ্যপাল বনাম মুখ্যমন্ত্রী

west-bengal-chief-minister-mamata-banerjee-and-governor-cv-ananda-bose-122228434-16x9_0

ওয়াকফ বিক্ষোভের নামে ওটা মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে যেভাবে তান্ডব চালানো হয়েছে তা একেবারেই বরদাস্ত করা চলবে না। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। হাইকোর্টের একটি মামলায় কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে এবং পরবর্তীকালে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এখনই মুর্শিদাবাদ জেলার সন্ত্রস্ত এলাকা গুলি থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নেওয়া চলবে না। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জেলার সন্ত্রস্ত এলাকাবগুলিতে ঘুরে দেখার জন্য ওই জেলায় যাচ্ছেন। সূত্রের খবর শুক্রবার সকাল থেকে তিনি হিংসা বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখবেন। তবে রাজ্যপাল বোসের এই সফরে ইতিমধ্যেই বাত সেঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের গোটা মুর্শিদাবাদে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। এই পরিস্থিতিতে ওখানে যাওয়া উচিত নয়। আমিও যেতে পারতাম। কিন্তু পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ওই সমস্ত এলাকায় এখনি যাওয়া উচিত নয়। রাজ্যপালের কাছে আমি অনুরোধ করব তিনি যেন এখনই ওই এলাকাগুলোতে না যান। এদিকে হাইকোর্টের যে মামলা চলছে তার শুনানিতে বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী জানিয়েছেন এটা একটা পরিকল্পিত হামলা। গোয়েন্দাদের আরও সজাগ হওয়া উচিত ছিল। এই হামলার জন্য গোয়েন্দাদের ব্যর্থত তাকেই দায়ী করেছেন বিচারপতি। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও বড় পদক্ষেপ নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেইসঙ্গে যে সমস্ত মানুষরা এই হিংসা ও দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে দ্রুত। সেই সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা যাতে আরো দ্রুত করাযায় তার জন্য প্রশাসনকে দায়িত্ব নিয়ে পালন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তবে এখনই রাজ্যপাল কে ওই এলাকায় যাওয়া উচিত হবে না। যদিও বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যদি এলাকাগুলিতে শান্তি ফিরে তাহলে তার যাওয়াতে অসুবিধা কোথায়। তিনি জানিয়েছেন গোটা পরিস্থিতি ঘুরে দেখে তাকে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হবে সেই কারণে তিনি আজ কাল সন্ত্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখবেন। তিনি আরো বলেছেন আবেগ দিয়ে এই সমস্ত বিষয়গুলিকে এড়িয়ে যাওয়া চলবে না। প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা ওয়াকফ বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চালালো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোর্টের নির্দেশে আরো কিছুদিন ওই সমস্ত এলাকায় যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে তেমনি এডিজি দক্ষিণবঙ্গ বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন ১১ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। ২৭৪ জন কে মুর্শিদাবাদ হিংসার ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় ইনজামুল হক নামে আরো এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুতি থেকে ইনজামুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এডিজি দক্ষিণ বঙ্গ সুপ্রতিম সরকার আরো জানিয়েছেন বাবা ছেলে খুনের ঘটনা আইসিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। সিসিটিভি ভাঙার ঘটনায় জড়িত ছিল ইন্ডিয়াামুল। মুর্শিদাবাদে সন্ত্রাস্ত্র এলাকাগুলিতে শান্তি ফেরানো সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে যারা। যারা হিংসার ঘটনায় ঘর ছাড়া হয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনার সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যেক প্রতিটি মানুষ আশ্বাস দিয়েছেন এটি দক্ষিণ বঙ্গ। তিনি আরো বলেন শামশেরগঞ্জের পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement