পরের বছরেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে একের পর এক ইস্যুকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড। এই প্রেক্ষাপটেই চলতি রাজ্য সফরে আসতে চলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, আগামী ২৪ এপ্রিল বাংলায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেই ফাঁকে জনসভাও করতে পারেন তিনি। কলকাতা বা লাগোয়া কোনও জেলায় সেই জনসভা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। কয়েক দিন আগেই সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশে রাজ্যে চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষকের। তার উপর ওয়াকফ সংশোধনী প্রতিবাদে উত্তাল মুর্শিদাবাদ। এই দুই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপি তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে খোদ প্রধাআনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলা সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক মহলের মতে, শেষপর্যন্ত যদি মোদী আসেন এবং জনসভা করেন, তাহলে সেই সভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিতে পারেন মোদী। একইসঙ্গে প্রচারের অভিমুখও ঠিক করে দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, চব্বিশে লোকসভা ভোটের প্রচারে বেশ কয়েক দফায় বঙ্গ সফরে এসেছিলেন মোদী। গোটা রাজ্য়ে কার্যত চষে বেড়িয়েছিলেন। যদিও বিজেপির ফল আশানূরূপ হয়নি। ১৮ থেকে কমে আসনসংখ্যা হয়ে যায় ১২। তবে ছাব্বিশের আগে আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের পালে হাওয়া লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সুকান্ত মজুমদার-শুভেন্দু অধিকারীরা। আবার দিল্লি জয়ের পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও নজর পড়েছে বাংলার দিকে। এর মধ্যেই আবার জেলা সাংগঠনিক পদে রদবদল করেছে বিজেপি। তবে রাজ্য সভাপতি পদে নির্বাচন বাকি রয়েছে।
কয়েক দিন আগেই বঙ্গ বিজেপির তরফে সল্টলেকে কোর কমিটির বৈঠক বসেছিল। রাজ্যে দলের ব্যাটন আগামী দিনে কার হাতে থাকবে, তাই নিয়ে জোর চর্চা চলছে। দলের পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হবেন? তাই নিয়ে গুঞ্জন হচ্ছে। দ্রুত বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতির নামও ঘোষণা হতে পারে। সুকান্ত মজুমদারই কি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি থাকবেন, নাকি নতুন মুখ হিসেবে অন্য কাউকে সেই পদে দেখা যাবে? সেই চর্চাও চলছে। এসবের মাঝেই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছাব্বিশের ভোটের দিকে তাকিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড। চাকরি বাতিল ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এছাড়াও রামনবমীকে সামনে রেখেও বাংলায় হিন্দুত্ববাদের জোরালো প্রচার চালিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা। বাংলায় হিন্দু ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে প্রস্তুতিতে ত্রুটি রাখতে চাইছে না বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড।