নেপালে পর্যটন প্রচারের জন্য কলকাতায় নেপালের কনসুলেট জেনারেল এক আলাপচারিতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচি আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল, নেপালের সামগ্রিক পর্যটন ক্ষেত্রের প্রচার, কলকাতাবাসীদের কাছে নেপালকে আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল হিসেবে তুলে ধরা, নেপালে পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় শিল্পপতিদের উৎসাহ প্রদান, নেপালের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও সকলের সামনে তুলে ধরা। এই কর্মসূচি চলাকালীন, নেপালের কনসাল জেনারেল ঝাক্কা প্রসাদ আচার্য্য ভারতীয় পর্যটকদের জন্য নেপালের পর্যটন বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন। নেপালের বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রের সৌন্দর্য ও সম্ভাবনা বিষয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন। এর পাশাপাশি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের প্রধান ড. মীর আব্দুল সফিক নেপাল পর্যটন প্রচারের থিম নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন।দার্জিলিং টুডে’র সম্পাদক ইন্দ্রায়নি দাশগুপ্ত নেপালের পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে একটি কাগজ তুলে ধরেন। তিনি নেপালি পর্যটনের বিভিন্ন দিক সুন্দরভাবে তুলে ধরেন। যা ভারতের পর্যটকদের আকর্ষিত করবে। এই অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ইস্যু ও উদ্বেগ তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে, বিগত কয়েক বছরে ফ্লাইট কম চলাচলের কারণে নেপাল ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াতকারী পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। কাঠমাণ্ডু ও কলকাতার মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা না থাকার বিষয়টি ভীষণ উদ্বেগের।

সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা যাতে চালু হয়, তার জন্য তিনি কনসাল জেনারেলের কাছে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কনসাল জেনারেল জানিয়েছেন, চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে কাঠমাণ্ডু ও কলকাতার মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করবে একটি এয়ারলাইন্স।অভিবাসী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ডেপুটি কনসাল জেনারেল জনক রাজ ভট্ট।