শহরে গড়ে ওঠা নতুন বিল্ডিংয়ের অ্যাসেসমেন্ট ও মিউটেশন হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে সমীক্ষা করবে কলকাতা পুরসভা। পুর কমিশনারকে এই বিষয়ে নোটিশ দেবে। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় টক টু মেয়র অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি আরও বলেন, ১২৮ ও ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মিউটেশন ও অ্যাসেসমেন্ট ছাড়াই বাড়ি তৈরি হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভার ইন্সপেকশন বুক কপি জাল করে বাড়ির প্ল্যান তৈরি হয়েছিল ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের ৫২এ মহেন্দ্র সরকার স্ট্রিটে।সেখানে ৫ তলা বিল্ডিং তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্ত প্রোমোটার ও জমির মালিকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই কাজের সঙ্গে যে সকল পুর কর্মীরা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ভিজিল্যান্স তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র।পুরসভা এক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন জনৈক সায়ন্তক দাস। তিনি বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা চিঠি দিয়েছেন পুরসভাকে। আরটিআইও করেছিলাম।তার ভিত্তিতে জানতে পারি, পুরো প্রক্রিয়াটি জাল।পুরসভার তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটার ও জমির মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। হাইকোর্টেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেয়র বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিভেদের রাজনীতি করছে। সরকার এটা করতে পারে না। নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুকে তিনি দালাল বলে অভিহিত করেন। পুরমন্ত্রী আরও বলেন, যখন রাজশক্তি পেটে ভাত দিতে পারে না, তখন ধর্ম দেখিয়ে রাজনীতি হয়। বর্তমানে বিজেপি সেটাই করছে। কারণ, মানুষ এখন না খেয়ে মরছে, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। তিনি আরও বলেন, রামনবমী চিরকাল হয়েছে, আগামীদিনেও হবে। আমি রামনবমী ও ইদের মজলিস দুটো উৎসবেই প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক পাই। তিনি আরও বলেন, শুভেন্দু অধিকারী ক্ষমতায় আসবে বলে কেউ বিশ্বাস করে না। মেয়র বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটা যেমন লজ্জার। তেমনই বিচারপতির বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেটাও লজ্জার। হৃদয় থেকে নিরপেক্ষ হতে হবে।যিনি বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিলেন তিনিই বিজেপির সাংসদ হয়ে গেলেন। ফিরহাদের হুঙ্কার, কোনও ওয়াকফ সম্পত্তিতে হাত দিয়ে দেখাক মোদি।