২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলই বৃহস্পতিবার বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের ফলে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। তবে শুধুমাত্র ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি বহাল রেখেছে। কলকাতা হাইকোর্টের গত বছরের রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, যাঁরা অন্য সরকারি দফতর থেকে এই চাকরিতে এসেছিলেন তাঁরা ৩ মাসের মধ্যে পুরনো জায়গায় যোগদান করতে পারবেন। ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাস ছাড়া বাকি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা কাজ করতে পারবেন না। তবে তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ফৌজদারি মামলার ওপর এর প্রভাব পড়বে না। নিজের চাকরি বহাল থাকলেও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খুশি নন সোমা দাস। বৃহস্পতিবারও স্কুলে গিয়েছিলেন বীরভূমের নলহাটির মধুরা হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষিকা। সোমা দাস জানান, এই রায় কোনওকালেই কাম্য ছিল না। তাঁর বক্তব্য, ‘এই রায় কোনওদিন কাম্য ছিল না। প্যানেলের মধ্যে অধিকাংশের বিরুদ্ধেই কোনও অভিযোগ ছিল না। কিন্তু সঠিক তথ্য কমিশনের কাছে ছিল না। এক এক সময়ে এক এক রকম তথ্য আদালতে দিয়েছে। সঠিক তথ্য না মেলার কারণেই হয়তো এই রায়, যা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। অনেকের পরিবার এই চাকরির ভরসায় চলে। যাঁরা দুর্নীতি করে চাকরি পাননি, তাঁরা আবার কঠিন সংগ্রামের মধ্যে পড়লেন।’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সোমা দাস এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন। মেধা তালিকাতে নাম থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি, এই অভিযোগ করেছিলেন। সেই নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়। চাকরির দাবিতে রাজপথে ধর্নাতেও বসেছিলেন ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত এই বিষয়টি জানতে পেরে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের কাছে ‘অনুরোধ’ করেছিলেন সোমাকে চাকরি দেওয়ার জন্য। ২০২২ সালে সোমাকে চাকরির সুপারিশপত্র দিয়েছিল কমিশন। ২০২২ সালে ১৮ এপ্রিল তিনি যোগ দেন মধুরা হাইস্কুলে। তবে নিজের চাকরি বহাল থাকলেও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট নন সোমা দাস।