বাংলার পর এবার গুজরাতেও ঘটল বাজি বিস্ফোরণ।মঙ্গলবার বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরের অদূরে একটি বাজি কারখাণায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ওই কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বাজি তৈরির সময় আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটে। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণ এত জোরে হয় যে তার আওয়াজ বহুদূর থেকে শোনা গিয়েছিল। বিস্ফোরণের জেরে মৃত ও আহতদের দেহাংশ ২০০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা। পাঠানো হয় একাধিক অ্য়াম্বুল্যান্সও। যে ছয় শ্রমিককে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। দিসার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট নেহা পাঞ্চাল জানান, জখম শ্রমিকদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা দ্রততার সঙ্গে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।বিস্ফোরণের অভিঘাতে কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের তলায় কয়েক জন শ্রমিক চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বাজি কারখানাটিতে বেআইনি ভাবে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করে রাখা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।বনাসকাণ্ঠার জেলাশাসক মিহির পটেল বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ আমরা ডীসা শিল্পতালুক এলাকায় একটি বড় বিস্ফোরণের খবর পাই। দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলেই ১০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত অনেক শ্রমিককে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতই শক্তিশালী ছিল যে, কারখানাটি ধসে পড়েছে।’’ এর পরে পুলিশি সূত্রে আরও সাত জনের মৃত্যুর খবর মেলে। প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আট জনের মৃত্যু হয়। সেখানে বেআইনি ভাবে বাজি ও বিস্ফোরক পদার্থ মজুত রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ।