বাড়ল ওষুধের দাম

IMG-20250331-WA0293

১ এপ্রিল থেকে দাম বাড়ছে অপরিহার্য অসংখ্য ওষুধের। ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ দাম বৃদ্ধি হবে প্রতিটি ওষুধের। প্রায় ৯০০ টির মতো ওষুধের দাম আজ থেকেই বেড়ে যাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়তে চলেছে মধ্যবিত্ত।
বার্ষিক নিয়ম মেনে উৎপাদক সংস্থাদের অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম ১.৭৪% পর্যন্ত বৃদ্ধির ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচক মেনে ওষুধের দামে এই বার্ষিক পরিবর্তনে সায় দিয়েছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি বা এনপিপিএ। আর সেই বর্ধিত দাম কার্যকর হচ্ছে আজ থেকেই।
রক্তচাপ, সুগার, গ্যাস, জ্বর, বমি, রক্ত পাতলা করার ওষুধের দাম বাড়ছে। দাম বাড়ছে হাঁপানি, সিজোফ্রেনিয়া সহ মানসিক অসুখ, এইডসের ওষুধেরও। সর্পাঘাতের ওষুধ, মরফিনের মতো ক্যান্সার রোগীদের ব্যথানাশক ওষুধের দাম বাড়ছে আজ থেকে। এছাড়াও অসংখ্য অপরিহার্য স্টেরয়েড এবং রোগীর জরুরি অ্যান্টিবায়োটিকের দাম বাড়ছে।
২০১৩–র কেন্দ্রীয় ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার (ডিপিসিও) মেনেই ওষুধের দামে এই মূল্যবৃদ্ধির নতুন ঊর্ধ্বসীমা ধার্য হতে চলেছে দেশের ৭৪৮টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ও তার বিভিন্ন প্যাকেজিং ও ফর্মুলেশনের উপর। একই নিয়মে অভিন্ন হারে বাড়ছে স্টেন্ট–সহ বিভিন্ন কার্ডিয়াক ও অর্থোপেডিক ইমপ্লান্টের দামও।
১ এপ্রিলের পর উৎপাদক সংস্থাদের জন্য নতুন বর্ধিত এমআরপির ওষুধ বাজারজাত করে পুরোনো এমআরপির ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সবুজ সঙ্কেতও দেওয়া হয়েছে।
অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অফ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস (এআইওসিডি)–এর সাধারণ সম্পাদক রাজীব সিঙ্ঘল সরকারি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ওষুধ উৎপাদনের প্রায় সব কাঁচামালের দামই বেড়েছে। তাই মূল্যবৃদ্ধির এই অনুমোদনটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আশা করছি, মাস দুয়েকের মধ্যে সব নতুন এমআরপির ওষুধ বাজারে এসে যাবে।’
শুধু ওষুধ নয়, করোনারি স্টেন্টের দামও বাড়তে চলেছে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement