সেপ্টেম্বরে অবসর মোদীর, রাউতের দাবি

IMG-20250331-WA0300

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রবিবার প্রথম নাগপুরে সঙ্ঘের সদর দফতরে যান নরেন্দ্র মোদী। সেখানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে কথাও হয় প্রধানমন্ত্রীর। আর সেই সাক্ষাৎকে সামনে রেখেই বোমা ফাটালেন শিব সেনার উদ্ধব-শিবিরের নেতা তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তাঁর দাবি, ”গত ১০-১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী একবারের জন্যও আরএসএস-এর দফতরে যাননি। হঠাৎ তাঁর এই সফর আসলে মোহন ভাগবতকে টা-টা, বাই-বাই বলার জন্য।” সঞ্জয় রাউতের আরও দাবি,, সেপ্টেম্বরে অবসর নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সূত্রেই তিনি সম্প্রতি নাগপুরে সঙ্ঘের হেটকোয়ার্টারে গিয়েছিলেন। রাউতের এই দাবি ঘিরে সোমবার দিনভর তোলপাড় হয় জাতীয় রাজনীতি। যদিও
সঞ্জয়ের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। পাল্টা তিনি বলেন, ‘২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরও রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবেই থাকবেন নরেন্দ্র মোদী।’ সোমবার মুম্বইয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেরন সঞ্জয় রাউত। সেখানে নাগপুরে আরএসএসের দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সঞ্জয় বলেন, “হয়ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের অবসরের আবেদনপত্র লিখতে আরএসএসের সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়েছেন। আমি এটুকু বেশ বুঝতে পারছি যে গোটা সংঘ পরিবার চাইছে দেশের নেতৃত্বে বদল ঘটাতে। প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদির সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। আরএসএসও প্রধানমন্ত্রী পদে বদল চাইছে, তাই মোদিকে তলব করেছেন ভাগবত। বিজেপির নতুন সভাপতিও বেছে নেবে আরএসএস।” শুধু তাই নয়, সঞ্জয় আরও জানান, “নরেন্দ্র মোদির বিদায়ের উপর সংঘের সিদ্ধান্তেই ওনার উত্তরাধিকারী বেছে নেওয়া হবে মহারাষ্ট্র থেকে।” সঞ্জয় রাউতকে মুঘল মানসিকতার লোক বলে কটাক্ষ করেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সংস্কৃতিতে প্রবীণরা যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেন, নবীনরা তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেন না। এই সব মুঘল ঘরানায় হয়।’ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মোদীজি আমাদের নেতা। উনি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যাবেন। ২০২৯ সালের পরও সকলে মোদীজিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার যোগ্যতাই নেই আমাদের।’ পাশাপাশি মুঘল সংস্কৃতির অতীত টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সংস্কৃতিতে পিতা জীবিত থাকাকালীন উত্তরাধিকার নিয়ে কথা বলাও অনুচিত। উনি যে সংস্কৃতির কথা বলছেন, ওটা মুঘল সংস্কৃতি। যেখানে বাবা বেঁচে থাকাকালীন ছেলে ক্ষমতায় বসে। এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়।” তবে নিজের দাবিতে অনড় সঞ্জয় রাউত। তাঁর মতে, সঙ্ঘ পরিবার এ বার নরেন্দ্র মোদীর বাইরে অন্যদের নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। কারণ ওঁরাও বুঝে গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর সময় সমাপ্ত।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement