মায়ানমারে জোড়া ভূমিকম্প, মৃত বাড়ছে

IMG-20250328-WA0298

মায়ানমারে ভূমিকম্প, প্রভাব থাইল্যান্ডেও জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার। শুক্রবার পর পর দু’বার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় পড়শি দেশ মায়ানমারে। কম্পনের তীব্রতায় মায়ানমারে চুরমার হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। মায়ানমারে ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে ব্যাঙ্কককেও। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। সেখানেও ভেঙে পড়েছে বহুতল। নিমেষে ধূলিস্মাৎ হয়ে যায় বিরাট বিল্ডিং। সরকারিভাবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা না পাওয়া গেলেও এই খবর লেখার সময় পর্যন্ত মায়ানমারে অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পে দু’দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।
ভারতের ভূকম্প পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে মায়ানমারে প্রথমটির কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ৭। তবে আমেরিকার ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউএস জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.৭। দ্বিতীয়টির ৬.৪। কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে। মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে শহর কলকাতাতেও।ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, প্রথম কম্পনটি হয় ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে। আর দ্বিতীয় কম্পনটি হয় ১২টা ২ মিনিটে। প্রথমটির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের বার্মার ১২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। আর দ্বিতীয়টির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের লকসকের ১৫১ কিলোমিটার পশ্চিমে। দু’টি কম্পনের ক্ষেত্রেই উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নীচে।ব্যাঙ্ককে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান বহুতল। ভূমিকম্পের পর ব্যাঙ্ককে ৪৩ জন নিখোঁজ বলে জানা যায়। ভূমিকম্প সম্পর্কিত যাবতীয় সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশ দেয় থাইল্যান্ড প্রশাসন। মায়ানমারের মান্দালয়ে ভূমিকম্পের কারণে একটি মসজিদও ধসে পড়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ব্যাংককে ধসে পড়া ৩০ তলা নির্মীয়মান ভবনের ভেতরে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আটকে রয়েছেন বলে জানা যায়। নির্মাণ কাজে ৪০০ জনেরও বেশি শ্রমিক নিযুক্ত ছিলেন, যার মধ্যে ৮০ জন নিখোঁজ বলে জানা যায়। শ্রমিকদের উদ্ধারে তড়িঘড়ি অভিযান চালায় প্রশাসন। ভূমিকম্পের ভয়াবহতা বৃদ্ধির পর, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাংককে ট্রেন পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন ব্যাংকক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও দুই ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। মায়ানমারে ভূমিকম্পের পর থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ব্যাঙ্কককে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেন। শহরের চাতুচক পার্ক এলাকায় একটি বিল্ডিং ধসে একজন নিহত হন। শহরজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। আমেরিকার জিয়োলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার মায়ানমারে জোড়া কম্পনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ এবং ৬.৪। আবার ভারতের ভূকম্প পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, প্রথম কম্পনের মাত্রা ৭.৫ এবং দ্বিতীয়টির মাত্রা ৭। ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকাতে কম্পন অনুভূত হয়েছে। কেঁপেছে বাংলাদেশ। কলকাতায় কোথাও কোথাও মৃদু কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি পর্যন্ত। এমনকি, চিনের কিছু এলাকায়ও ভূমিকম্প টের পাওয়া গিয়েছে।ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, প্রথম কম্পনটি হয় ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে। আর দ্বিতীয় কম্পনটি হয় ১২টা ২ মিনিটে। প্রথমটির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের বর্মা প্রদেশের ১২ কিলোমিটার উত্তরে। আর দ্বিতীয়টির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের লকসকের ১৫১ কিলোমিটার পশ্চিমে। দু’টি কম্পনের ক্ষেত্রেই উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নীচে।অবশ্য ভূমিকম্প মায়ানমারে নতুন নয়। ১৯৩০ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে সে দেশে সাত বা তার বেশি মাত্রার ছ’টি ভূমিকম্প হয়েছিল। মায়ানমারের উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত রয়েছে সাগাইং চ্যুতিরেখা। প্রায়ই ভূ-আন্দোলনের কারণে ভূমিকম্প হয় ভারতের এই পড়শি দেশে।ভারতেও এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে। এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। কলকাতায় কম্পন বোঝা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকাতেও পুকুর-নদীতে জলস্ফীতি দেখা যায় এ দিন।
উদ্বিগ্ন মোদী
মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে আজ ভোরে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 
এক্স বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পজনিত পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। সকলের নিরাপত্তা ও কল্যাণ কামনা করছি। ভারত সম্ভাব্য সমস্ত রকম সহায়তার জন্য প্রস্তুত। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সংশ্লিষ্ট সমস্ত সংস্থাকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রককেও মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে বলা হয়েছে”।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement