একলাফে অনেকটাই বেতন বাড়ল সাংসদ এবং প্রাক্তন সাংসদদের। ২৪ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। প্রায় সমানুপাতিক হারে বাড়ছে সাংসদদের দৈনিক ভাতা এবং প্রাক্তন সাংসদদের পেনশনও। বেতন বৃদ্ধির ১ লক্ষ থেকে সাংসদদের বেতন বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। সাংসদদের দৈনিক ভাতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’হাজার টাকা থেকে বেড়ে মাসিক আড়াই হাজার টাকা করা হয়েছে ভাতা। একই সঙ্গে প্রাক্তন সাংসদদের পেনশনও বাড়ানো হয়েছে। ২৫ হাজারের বদলে এ বার থেকে ৩১ হাজার টাকা পেনশন পাবেন প্রাক্তন সাংসদরা। সংসদ সদস্য এবং প্রাক্তন সদস্যদের বেতন, দৈনিক ভাতা, পেনশন এবং অতিরিক্তি পেনশন বৃদ্ধি কার্যকর হবে ১ এপ্রিল, ২০২৩ থেকে। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের। মুদ্রাস্ফীতিতে ধুঁকছে দেশ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে জর্জরিত আমজনতা। তার মধ্যেই সাংসদদের এই বেতনবৃদ্ধি। সোমবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এতদিন সাংসদরা মাসিক ১ লক্ষ টাকা করে বেতন পেতেন। এবার সেটা বেড়ে হবে ১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে সাংসদদের দৈনিক ভাতা বেড়েছে ২৫ শতাংশ। আগে যে ভাতা ছিল দৈনিক ২ হাজার টাকা। সেটাই এবার বেড়ে হল আড়াই হাজার টাকা। সেই সঙ্গে প্রাক্তন সাংসদদের পেনশনের অঙ্কটাও বাড়ল একই হারে। আগে যে পেনশনের অঙ্কটা ছিল মাসে ২৫ হাজার টাকা। এবার সেটা বেড়ে হচ্ছে মাসিক ৩১ হাজার টাকা। এর বাইরে প্রতি বছর সাংসদ থাকার জন্য অতিরিক্ত পেনশনের অঙ্কটা ২ হাজার টাকা থেকে বেড়ে আড়াই হাজার টাকা হচ্ছে।নতুন এই বেতনবিধি চালু হচ্ছে ১ এপ্রিল ২০২৩ সাল থেকে। অর্থাৎ গত প্রায় দুবছরের বর্ধিত বেতনের টাকা সাংসদরা ‘এরিয়ার’ হিসাবে এককালীন পাবেন। কেন্দ্র সরকারি সূত্র বলছে, আয়কর আইন মেনেই মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে যাতে সাংসদদের সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই এই বেতনবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোনও বিরোধী দলও সরকারের এই সিদ্ধান্তের কোনও প্রতিবাদ করেনি।রাজনৈতিক মহল বলছে, এক ধাক্কায় এই বড় অঙ্কে সাংসদদের বেতনবৃদ্ধিটা নতুন কিছু নয়। আগের সরকারের আমলেও নিয়ম করে বেতন বাড়ানো হত জনপ্রতিনিধিদের। এই একই তৎপরতা সরকার যদি আমজনতাকে স্বস্তি দিতে দেখাত, তাহলে হয়তো বহু সমস্যার আরও চটজলদি সমাধান মিলত।