আর কি কর কাণ্ডে ফের সিবিআইয়ের দফতর অভিযান করলেন চিকিৎসকরা। আর সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সোমবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সল্টলেকে। সোমবার বিধাননগরের সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান চালানো পুলিশ মিছিল আটকে দিলে গার্ডরেল ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। তখনই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর জি কর কাণ্ডে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। শিয়ালদহ আদালতে দ্রুত বিচার হয়। বিচারক খুন ও ধর্ষণ মামলায় সঞ্জয়কে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারীরা।তাদের বক্তব্য, সিবিআই সঠিকভাবে তদন্ত করেনি। সেই কারণেই দোষীর ফাঁসির সাজা হয়নি। একইসঙ্গে তাদের দাবি, এই ঘটনার পিছনে আরও অনেকে জড়িত। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় সঞ্জয় কি একাই ছিল? সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে কেন ব্যর্থ সিবিআই? থ্রেট কালচারে অভিযুক্তরা কেন শাস্তি পেল না? সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের দাবিতে সোমবার সল্টলেকে সিবিআইয়ের অফিস সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দেয় সিনিয়র চিকিৎসক-নার্সদের সংগঠন। এই অভিযান ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয়, তা নিশ্চিত করতে সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে তৎপর ছিল পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিজিও কমপ্লেক্সের গেটের বাইরে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল গার্ডরেল রাখা হয়। গেটের ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা টহলে রয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায়ও জড়িয়ে পড়েন চিকিৎসক-নার্সদের একাংশ। পরে বিক্ষোভকারীদের তরফে পাঁচ প্রতিনিধি ভিতরে যান। ছিলেন দুই মহিলা প্রতিনিধিও।এ দিন অভিযানে ছিলেন, মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম, নার্সেস ইউনিটির সদস্যরা। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন , সাত মাস কেটে গিয়েছে। এখনও কেন এই মামলায় সিবিআই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে পারেনি? দ্রুত সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার দাবি নিয়েই এ দিন সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে অংশ নেন ডাক্তার, নার্সদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, সঞ্জয় রায়কে সামনে রেখে বাকিদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে।তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিন কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার পরিবারের নতুন আবেদনকে সামনে রেখে মামলা শোনেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতি ঘোষ নির্দেশ দেন, সিবিআই যেন কেস ডায়েরি নিয়ে আসে। একই সঙ্গে তিনি জানতে চান, এই ঘটনায় একজনই অভিযুক্ত নাকি আরও কেউ সন্দেহের তালিকায়, তা আদালতের কাছে স্পষ্ট করতে হবে সিবিআইকে।