মমতার পুলিশ মেরেছে, বিক্ষোভের মাঝে অভিযোগ শুভেন্দুর

IMG-20250324-WA0229

কদিন ধরে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে হাওড়ার বেলগাছিয়া–সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। বেশ কিছু বাড়িতে ধস নেমেছে এবং ফাটলও দেখা দিয়েছে। যার জেরে দুর্ভোগে পড়েছেন হাওড়াবাসীরা। সোমবার সকালেই পরিদর্শন সেরেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াতে বিকেলে বেলগাছিয়ার ওই ভাগাড়ে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ওই এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরতে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলা হলেও শুভেন্দু অধিকারীকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, শুভেন্দু অধিকারীর হাতে আঘাত করারও অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এলাকার ভিতরে ঢুকতে ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। তখনই ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। তার জেরে পড়ে যান এক বিজেপি নেতা। এদিন বিজেপির তরফে জল, খাবার, ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাসিন্দাদের আর্থিক ৫ হাজার টাকা তুলেছে দেন বিরোধী দলনেতা।
শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, “হিন্দু বলে হাওড়ার ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করছে না সরকার। রোহিঙ্গা থাকে না তাই রিলিফ নেই, হিন্দু থাকে তাই রিলিফ নেই।”
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অভিযোগ করতে থাকেন, গোলাম মুস্তার্জা নামে এক সাব ইনস্পেক্টর তাঁর হাতে আঘাত করেছেন। হাত থেকে রক্ত বেরিয়ে যায় বলেও দেখাতে থাকেন সংবাদমাধ্যমে।
তিনি বলেন, ‘‌আমাকে রক্তাক্ত করেছে পুলিশ। এই রক্ত আমি গুছিয়ে রাখলাম। আমি কি বাড়ি থেকে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে এসেছি? আপনি মারলেন কেন? সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারেন না। আপনি আটকাবেন না কেন?’‌ এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
শুভেন্দুর কথায়, ‘‌হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ পানীয় জল পাচ্ছেন না। বসতিতে ফাটল। বহু মানুষ নিরাশ্রয়। অথচ বিরোধী দলনেতাকে সেখানে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। বাংলায় কোনও গণতান্ত্রিক সরকার নেই। মমতার পুলিশের হাতে বিরোধী দলনেতা আক্রান্ত হল। আমাকে রক্তাক্ত করা হল। বুঝে নিন বাংলার কী অবস্থা। আসলে হাওড়ার মানুষজন রোহিঙ্গা হলে তৃণমূলের সরকার নিশ্চয়ই সাহায্য করত।’‌
শুভেন্দু অভিযোগ করেন, “২ হাজার বেআইনি বাড়ি রয়েছে হাওড়া জুড়ে। গরিবদের লুঠ করছে মমতার সরকার। গরিব অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। বুদ্ধদেব মমতাকে প্রোটেকশন দিত। আর মমতা বিরোধী দলনেতাকে মার খাওয়াচ্ছেন। লম্পট মন্ত্রী এসেছিল, পালিয়েছে ওদিকে।”
ক্ষোভের সুরে তাঁর বক্তব্য, পুলিশ আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। আমাকে রক্তাক্ত করেছে। এই রক্ত গুছিয়ে রাখলাম। ২০০ শতাংশ কাজের নমুনা দেখুন। গরিবের খাবার নেই। মিথেন গ্যাস বেরচ্ছে।
তিনি বলেন, “কাল থেকে লোকগুলিকে খাবার তো দূর, জলও দেওয়া হয়নি। আমি অবিলম্বে তাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement