আবাস যোজনার ঘর নিয়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস কর্মীদের ভিতরে রেখে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটলো।মঙ্গলবার দিনহাটা ১ ব্লকের গিতালদহ এলাকায় এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। একদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ, গিতালদহ এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোনম কালোয়ার এবং তৃণমূলের গিতালদহ এক অঞ্চল সভাপতি আসাদুল হক দুজনে একতরফাভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালনা করে চলেছে। আবাস যোজনার ঘর প্রকৃতপক্ষে যারা পাওয়ার যোগ্য, তাদের না দিয়ে টাকার বিনিময়ে অবস্থাপন্ন মানুষের নামে ঘর বন্টন করা হচ্ছে। যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোনম কালোয়ার এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল জলিল, গ্রাম পঞ্চায়েত অপর সদস্য লতিফা খাতুন, তৃণমূল নেতা আসাদুল হকের নেতৃত্বে একদল তৃণমূলের নেতাকর্মীরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আসেন এবং প্রকৃতপক্ষে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের কেন আবাস যোজনার ঘর দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে কৈফিয়ৎ তলব করেন। বিষয়টি নিয়ে বচসা বাঁধে। এরপরেই তৃণমূলের ওই কর্মী- সমর্থকরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে রীতিমতো তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এদিকে ওই ঘটনার খবর পেয়ে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের গোষ্ঠীর লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে তাদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায়। এক সময় উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একদল অপর দলের ওপর রীতিমতো লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। ফলে বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে প্রধান বিরোধী গোষ্ঠীর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল জলিল, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য লতিফা খাতুন, তৃণমূল নেতা আসাদুল হক বলেন, প্রধান সুনম কালোয়ার এবং তৃণমূলের গীতালদহ এক নম্বর অঞ্চল সভাপতি আসাদুল হক উভয়েই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যান্য যে সমস্ত সদস্যরা রয়েছে তাদের সঙ্গে কোন রকম পরামর্শ না করেই একতরফাভাবে কাজকর্ম করে চলেছেন। আবাস যোজনার যে ঘরের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে যারা সম্পন্ন ধনাঢ্য ব্যক্তি তাদের নাম রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তাদের নাম সেই তালিকায় নেই। তাইতো এলাকার সাধারণ মানুষ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুনাম কালোয়ার এবং অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি আসাদুল হক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। ওরা এলাকায় একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কি কারনে তালা ঝুলিয়েছে তা জানা নেই। বিষয়টি প্রশাসন দেখবে।প্রধান সোনম কালোয়ার বলেন, আমি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আসবো জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলাম। হঠাৎ শুনি ওরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত সচিব এগিয়ে যেতেই তাকে মারধোর করা হয়। ফলে আমি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আসতে পারিনি।