ব্যস্ততা রং তৈরির কারখানায়

IMG-20250310-WA0238

মালদা: বসন্ত এসে গেছে।পলাশের গাছে কোকিলের গান শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই। পর পর দুটো বছর ঘরে বসে থাকার পর এবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠছে সাত থেকে সত্তর। মধ্যে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তাই মনে এখন বসন্ত উৎসবের দোলা। খেলব হোলি, রং দেব না? মানুষের মন বুঝে চরম ব্যস্ততা রং তৈরির কারখানা গুলিতে। এক্ষেত্রে জেলার দুই শহরে খুব পরিচিত নাম বিমল পাল। পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকার কালীতলায় বাড়ি তাঁর। বাড়ির নীচেই তাঁর রং বানানোর কারখানা। এই কাজ মেরেকেটে দিন পনেরো চলে। তাই এখন সেখানে দম ফেলার ফুরসত নেই কারও। একদিকে চলছে আবির তৈরি, অন্যদিকে রং। তবে শুধু রং নয়, বিমলবাবু হোলি খেলার যাবতীয় সরঞ্জামের পাইকারি ব্যবসা করেন।বিমলবাবুর কথায়, ‘৩৫-৪০ বছর ধরে আবির আর রং তৈরি করছি। দিন পনেরো এই কাজ চলে। আমার এখানে ৭-৮ জন কাজ করছে৷ কাজ ভালোই চলছে৷ এবার অন্তত ২০ টন আবির বিক্রি করার কথা ভেবেছি৷ তবে এখন হার্বাল আবিরের চাহিদা বেশি৷ তাই পুরোনো পদ্ধতিতে আবির তৈরি কমিয়ে দিয়েছি৷ ভেষজ আবির সুরাট থেকে আসে৷ ওই আবির ৫০০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ৩৫০ টাকা৷ আবার ২০০ টাকা কিলো দরের হার্বাল আবিরও রয়েছে৷ আর আমার এখানে যে আবির তৈরি হয় তার দাম কিলো প্রতি ৫০ ও ১০০ টাকা৷ আমার এখান থেকে মালদা তো বটেই, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর, এমনকি ঝাড়খণ্ডেও আবির যায়৷ এবার পাইকারি ব্যবসা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এবার হার্বালটাই বেশি চলছে৷ ভেষজ আবিরের দাম বেশি বলে বিক্রি একটু কম৷ আমাদের তৈরি ফ্রেঞ্চ চক আর ক্যালসিয়াম আবিরের চাহিদাও বেশ ভালো৷ এর থেকে নীচু মানের আবির আর তৈরি করি না৷

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement