করোনা পরবর্তী সময় থেকে অনলাইনে পড়াশোনা কিংবা কাজের বিষয় সব কিছুই করতে হচ্ছে। ফলে শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক প্রত্যেকের ভরসা হেডফোন। কিন্তু অধিক মাত্রায় এই হেডফোন ব্যবহার সমস্যা তৈরী করছে শ্রবনের ক্ষেত্রে। এর উপর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওয়েব সিরিজে চোখ রাখতে ভরসা হেডফোন। ফলে কয়েক ঘন্টা নয় দীর্ঘ সময় সময় ধরে চলে কানের উপর চাপ সৃষ্টি। বিশ্ব শ্রবণ দিবসে কানের যত্ন ও সুরক্ষায় চিকিৎসকরা আরো একবার তুলে ধরলেন বিষয়টি। ৩রা মার্চ বিশ্ব শ্রবন দিবস আয়োজিত হয়। এই বিষয়ে জন সচেতনতা গড়ে তুলতে দ্য অ্যাসোসিয়েশন অফ ওটোল্যারিঙ্গোলজিস্ট অল ইন্ডিয়া ইএনটি পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে চিকিৎসক দ্বৈপায়ন মুখার্জি, চিকিৎসক অজয় কুমার খাওয়াস, চিকিৎসক স্নেহাশিস বর্মন, চিকিৎসক উৎপল জানা বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরেন।
চিকিৎসক দ্বৈপায়নের কথায়, ‘নাগাড়ে হেড ফোন, ইয়ার ফোন জাতীয় জিনিস কানে গুঁজে রাখলে সাময়িক ভাবে কানে শোনার উপলব্ধি ও তীক্ষ্ণতা কিঞ্চিৎ কমে যায়। এ রকম হতে হতে ক্রমশ স্থায়ী ভাবে শ্রবণ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে এই ব্যাপারটা চট করে বোঝা মুশকিল। যত দিনে বোঝা যায়, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’
তিনি বলেন, এয়ারফোন ও হেডফোন অধিক ব্যবহারের ফলে কানের ক্ষতি করছে। শিশুদের ক্ষেত্রে জন্মের সময় হিয়ারিং টেস্ট করে নেওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে উল্লেখ করেন ২ ঘন্টার বেশি সময় হেড ফোন ব্যবহার না করার। কানের শ্রবন শক্তি হারিয়ে গেলে ওষুধ ব্যবহার করেও শব্দ শ্রবন ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।