পুনর্মিলনের পরেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি রাজ-উদ্ধবের

IMG-20250705-WA0108

মুম্বাই: ২০ বছর পর পুনর্মিলন দুই ভাইয়ের। হিন্দি আগ্রাসন রুখতে আবার একে অপরের হাত মিলিয়েছেন রাজ ঠাকরে এবং উদ্ধব ঠাকরে। সেই মঞ্চ থেকেই বিজেপির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তাঁরা। উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গও।মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত)-র জোট সরকার সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে স্কুলে ‘তিন ভাষা’ বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করেও প্রবল বিরোধিতার জেরে পিছু হটেছে। তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি বাধ্যতামূলক করার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের সরকার। সেই ‘বিজয়’ উপলক্ষেই শনিবার ওরলিতে এই ‘আওয়াজ মরাঠিচা’ (মরাঠি কণ্ঠস্বর) সমাবেশের আয়োজন করেছিল উদ্ধব এবং রাজের দল।সেই মঞ্চ থেকেই ফডণবীস সরকারকে নিশানা করেন উদ্ধব। তিনি বলেন, ‘‘দেবেন্দ্র ফডণবীস, আপনি বলেছেন যে আপনি ভাষা আগ্রাসন বরদাস্ত করবেন না। আমাকে এক জন মরাঠি দেখান, যিনি এ রাজ্যের বাইরে কোথাও মরাঠি ভাষা চালু করার জন্য লড়াই করেন।’’ এর পরেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব বলেন, ‘‘বাংলা, তামিলনাড়ুতেও হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন দেখি।’’ পরে তাঁর সাফাই, ‘‘আমরা কোনও ভাষার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু আপনি যদি বলপ্রয়োগ করেন, আমরাও শক্তি প্রদর্শনে বাধ্য হব।ভাষা নিয়ে কেন্দ্রের শাসক বনাম বিরোধীদের চাপানউতোর শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মত, এ নিয়ে কেন্দ্রের বার বার অবস্থান বদলই বিরোধীদের মনে বাড়তি সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষত বিরোধীদল শাসিত তামিলনাড়ুতে ত্রিভাষা নীতির নামে হিন্দিকে গোটা ভারতের উপর চাপিয়ে দেওয়ার ‘চক্রান্তের’ বিরুদ্ধে ক্ষোভ তীব্র হয়ে উঠেছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সেই আন্দোলনের পুরোভাগে দাঁড়িয়ে। তাঁর সঙ্গে চলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সরাসরি দ্বৈরথ।স্ট্যালিন অভিযোগ করেছেন, ইতিমধ্যে উত্তর ভারতের অন্তত পঁচিশটি ভাষাকে গিলে খাওয়ার পর হিন্দি এখন কেন্দ্রীয় সরকারি নীতির মাধ্যমে দক্ষিণ ভারত ও অন্যত্র আগ্রাসী রূপ নিচ্ছে। বিপরীতে দাঁড়িয়ে শাহ বার্তা দিয়েছেন যে, এতই যদি তামিল-অস্মিতা, তবে মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো পরীক্ষাও এ বার থেকে তামিল ভাষায় নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেখান স্ট্যালিন। পশ্চিমবঙ্গেও একাধিক বার এই অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিবাদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বাংলার জায়গায় হিন্দিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিজেপিকে নিশানা করেছেন তিনি। সেই ক্ষোভই আবার উস্কে দিলেন রাজ-উদ্ধব।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement