বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) চলার মাঝেই রাজ্যে একের পর এক চাপ, বিক্ষোভ আর নিরাপত্তা-সংকট বাড়তে থাকায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। বিএলও ও নির্বাচনকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পাঠানো চিঠিতে কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে—ক্ষেত্রে নামা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্পূর্ণভাবেই রাজ্য পুলিশের দায়িত্ব। কমিশনের ভাষ্যে, মাঠপর্যায়ে কাজ করা বিএলওদের উপর ভয় দেখানো, হুমকি এবং নানা ধরনের চাপের ঘটনা বেড়েছে। ফলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও নির্বাচনকর্মীর কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিকে ফরম বিতরণ ও আপলোডে আশাতীত অগ্রগতি হয়েছে। ৭ কোটি ৬৬ লক্ষেরও বেশি ভোটারের মধ্যে ৯৮শতাংশ এর বেশি মানুষের হাতে ইতিমধ্যেই ফরম পৌঁছে গিয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ ফরম আপলোড হয়ে গিয়েছে—যা কমিশনের মতে ব্যতিক্রমী সাফল্য। তবে এই অগ্রগতির মাঝেও উত্তেজনা কমছে না। তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ বিএলও সংগঠনের তিন দফা বিক্ষোভ, মৃত বিএলওর পরিবারকে নিয়ে সিইও দপ্তরে ধাক্কাধাক্কি, এমনকি সিইওর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়া—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি তীব্র হওয়ায় নির্বাচন কমিশন কলকাতা পুলিশ কমিশনারকেও আলাদা নির্দেশ দিয়েছে, সিইও দপ্তরের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ স্তরে বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সিইও অফিসকে আরও সুরক্ষিত ভবনে স্থানান্তরের নির্দেশও এসেছে। বিএলও–ইআরওদের অতিরিক্ত ভাতা না মেটানো নিয়েও কমিশনের অসন্তোষ তীব্র। মুখ্যমন্ত্রী আগেই চিঠি দিয়ে এসআইআর–এর অতিরিক্ত চাপের বিষয়ে উদ্বেগ জানালেও, কমিশন এবার পাল্টা বার্তায় স্পষ্ট করে দিয়েছে—নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখা রাজ্যের দায়, কোনও অজুহাত চলবে না। এত চাপ ও উত্তেজনার মধ্যেই এসআইআর–এর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চরম কৌতূহল তৈরি হয়েছে।









